সিবিএন ডেস্ক : সাধারণ মানুষকে হেনস্তা এবং মারধরের অভিযোগে কথিত টিকটক স্টার অপুকে এক সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে উত্তরা মডেল থানা পুলিশ।

সোমবার সন্ধ্যায় উত্তরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপুর বিরুদ্ধে গত রোববার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় উত্তরা ছয় নম্বর সেক্টর এলাকার স্থানীয় লোকজনকে মারধর করার অভিযোগে একটি মামলা হয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

অপুর সঙ্গে তার সহোযোগী নাজমুলও গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উত্তরা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজিজ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার প্রকৌশলী মেহেদি হাসান রবিন উত্তরার সড়কটি দিয়ে তার ব্যক্তিগত গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সাথে তার ২-৩ জন বন্ধুও ছিলো। এ সময় আলাউল অ্যাভিনিউয়ের সড়ক আটকে টিকটক অপু’ ওরফে ‘অপু ভাই’ ও তার সহযোগীরা টিকটক বানাচ্ছিল।

রবিন রাস্তা আটকানো দেখে হর্ন বাজায়। হর্ন বাজানোর পর অপু ও তার সহযোগীরা বিরক্ত বোধ করে এবং গাড়িকে উদ্দেশ্য করে অশালীন কথা বলতে থাকে। রবিন আর তার বন্ধুরা গাড়ি থেকে নেমে সাইড দিতে বলে।

তবে ‘কেন গাড়ির হর্ন বাজানো হলো’ এবং ‘কেন রাস্তা ছাড়তে বললো’, এ কারণে অপু ও তার সহযোগীরা রবিনসহ তার দুইজন বন্ধুকে মারধর করে। এতে রবিন এবং বাকি দুইজন গুরুতর আহত হয়।

এরপর স্থানীয়রা অপু ও তার সহযোগীদের বিরক্ত করার জন্য গণপিটুনি দেয়। সে সময় পুলিশ অপু ও তার আরেক সহযোগীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আজিজুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার অপুর বাবার নাম শহীদ ইসলাম। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী। দক্ষিণখান এলাকার একটি বাসায় থাকতো অপু। মঙ্গলবার সহযোগীসহ অপুকে আদালতে পাঠানো হবে।

 

টিকটক অপুর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ

তার বিরুদ্ধে সড়ক অবরুদ্ধ করে বাদীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম, চুরি ও হুমকির অভিযোগ আনা হয়েছে।

অপুর সঙ্গে তার সহোযোগী নাজমুলও গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উত্তরা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজিজ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার প্রকৌশলী মেহেদি হাসান রবিন উত্তরার সড়কটি দিয়ে তার ব্যক্তিগত গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সাথে তার ২-৩ জন বন্ধুও ছিলো। এ সময় আলাউল অ্যাভিনিউয়ের সড়ক আটকে টিকটক অপু’ ওরফে ‘অপু ভাই’ ও তার সহযোগীরা টিকটক বানাচ্ছিল।

রবিন রাস্তা আটকানো দেখে হর্ন বাজায়। হর্ন বাজানোর পর অপু ও তার সহযোগীরা বিরক্ত বোধ করে এবং গাড়িকে উদ্দেশ্য করে অশালীন কথা বলতে থাকে। রবিন আর তার বন্ধুরা গাড়ি থেকে নেমে সাইড দিতে বলে।

তবে ‘কেন গাড়ির হর্ন বাজানো হলো’ এবং ‘কেন রাস্তা ছাড়তে বললো’, এ কারণে অপু ও তার সহযোগীরা রবিনসহ তার দুইজন বন্ধুকে মারধর করে। এতে রবিন এবং বাকি দুইজন গুরুতর আহত হয়।

এরপর স্থানীয়রা অপু ও তার সহযোগীদের বিরক্ত করার জন্য গণপিটুনি দেয়। সে সময় পুলিশ অপু ও তার আরেক সহযোগীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আজিজুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার অপুর বাবার নাম শহীদ ইসলাম। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী। দক্ষিণখান এলাকার একটি বাসায় থাকতো অপু। মঙ্গলবার সহযোগীসহ অপুকে আদালতে পাঠানো হবে।

সূত্র জানায়, মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে অপু ও তার সহযোগীরা বেআইনিভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে গতিরোধ করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে মারপিট করে রক্তাক্ত ও গুরুতর জখমসহ চুরি, ভয়ভীতি ও হুমকির অপরাধ করেছে।

মামলায় দণ্ডবিধি ১৪৩, ৩৪১, ৩২৩, ৩২৪, ৩২৫, ৩৫৯ ও ৩৭৯ -ধারায় অপরাধ করার উল্লেখ করা হয়েছে। দণ্ডবিধির ধারা ১৪৩ বেআইনি সমাবেশ করার অপরাধে, ৩৪৩ অন্যায়ভাবে কাজে বাধা প্রদানের জন্য, ৩২৩ কোনো ব্যক্তিকে হাত দ্বারা বা ভোতা অস্ত্র দ্বারা আঘাত করায়, ৩২৫ কোনো ব্যক্তিকে হাত দ্বারা বা ভোতা অস্ত্র দ্বারা ‘গুরুতর’ আঘাত করার সাজা, ৩২৬ কোনো ব্যক্তিকে (শুধুমাত্র) ধারালো অস্ত্র দ্বারা গুরুতর আঘাত করা এবং ৩৭৯ ঘরের বাইরে বা খোলা জায়গা থেকে মালামাল চুরি করার অপরাধে মামলা দেয়া হয়েছে।

উত্তরা পূর্ব থানার এসআই আজিজুল তালুকদারকে মামলাটি তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এজাহারে অপুসহ তার বন্ধু রনি, মুরাদ, জমিরউদ্দিন, নাজমুল, শাহদাত হোসেন শাকিলসহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

– বাংলাদেশ জার্নাল